আরবি ১২ মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫ উল্লেখযোগ্য দিবস সহ
আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ মুসলিম বিশ্বের ধর্মীয় ও সংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচী নির্ধারণের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরবি ক্যালেন্ডার, যা হিজরী ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত। এটি একটি চাঁদ দেখা ভিত্তিক
ক্যালেন্ডার। আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ নিয়ে লেখা এই আর্টিকেলে এ হিজরী বছর ১৪৪৬ থেকে ১৪৪৭ এবং বিভিন্ন তারিখ ও গুরুত্বপূর্ণ দিবস সমূহ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫
- আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫
- আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আজকে আরবি কত তারিখ
- আরবি ক্যালেন্ডার এর উৎপত্তি ও ইতিহাস
- আরবি বা হিজরী ক্যালেন্ডার এর মাসগুলোর বিন্যাস
- 1.মহরম
- 2.সফর
- 3.রবিউল আউয়াল
- 4.রবিউস সানি
- 5.জমাদিউল আউয়াল
- 6.জমাদিউস সানি
- আরবি ক্যালেন্ডার জানুয়ারি মাসের ২০২৫
- ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালের ইংরেজি আরবি ক্যালেন্ডার
- মার্চ মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ আজকের তারিখ
- এপ্রিল আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫
- আজকে আরবি মাসের কত তারিখ মে ২০২৫
- আরবি ক্যালেন্ডার জুন মাসের আজকের তারিখ ২০২৫
- আরবি ক্যালেন্ডার জুলাই মাসের আজকের তারিখ ২০২৫
- আগস্ট মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫
- সেপ্টেম্বর মাসের ২০২৫ সালের আরবি ক্যালেন্ডার
- অক্টোবর মাসের বাংলাদেশে আজ ইসলামিক আরবি তারিখ কত
- নভেম্বর মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ আজকের তারিখ
- আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ডিসেম্বর ২০২৫
- লেখকের মন্তব্য আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫
আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫
আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ মুসলিম বিশ্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচী, যা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন উৎসবের নির্দিষ্ট তারিখ গুলোকে চিহ্নিত করে। এটি চাঁদের চক্র বা চন্দ্র মাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি। তাই আরবি ক্যালেন্ডার এর মাস গুলো গ্রেগরিয়ন ক্যালেন্ডার এর মাস গুলোর সাথে সমঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ২০২৫ সালে হিজরী বছর ১৪৪৬ থেকে ১৪৪৭ পর্যন্ত থাকবে।
যার মধ্যে রমজান মাসর রোজা, ঈদ উল ফিতর, ঈদ উল আযহা, আশুরা, মাওলিদ উন নবীর মত গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো রয়েছে। আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ চাঁদের ভিত্তিতে মাস ও দিনের গণনা হওয়ায় প্রতিটি মাসের শুরু চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। ধর্মীয় গুরুত্বের পাশাপাশি আরবি ক্যালেন্ডার মুসলিম সংস্কৃতি একটি অংশ, যা তাদের ঐতিহ্য ও আচার অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আজকে আরবি কত তারিখ
আজকে আরবি তারিখ হল ৮ই জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরী, যা ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী ১০ ডিসেম্বর ২০২৪। এই তারিখটি ইসলামিক চন্দ্র ক্যালেন্ডার এর উপর ভিত্তি করে গণনা করা হয়েছে এবং এটি চাঁদের পর্যায়ক্রম অনুযায়ী নির্ধারিত হয়েছে, যা মুসলিম বিশ্বের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের সঠিক দিন নির্ধারণের ব্যবহৃত হয়।
হিজরী ক্যালেন্ডার ১২টি চন্দ্র মাস নিয়ে গঠিত এবং প্রতিটি মাস ২৯ বা ৩০ দিনে হয় যার নতুন চাঁদ দেখার সাপেক্ষ।
জমাদিউস-সানি(১৪৪৬ হিজরি)
রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 |
আরবি ক্যালেন্ডার এর উৎপত্তি ও ইতিহাস
হিজরী ক্যালেন্ডার চালু করার ক্ষেত্রে সরাসরি আল্লাহর কোন নির্দিষ্ট আদেশ নেই। তবে এটি মুসলিম সমাজের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত ছিল।
ইসলামের সময় ও মাসের ধারণা সম্পর্কে আল্লাহ পবিত্র কোরআনে নির্দেশনা দিয়েছেন। যেমন কোরআনের সূরা তওবার (৯ঃ৩৬) আয়াতে আল্লাহ বলেছেন যে "আল্লাহর কাছে ১২ মাসের হিসাব নির্ধারিত, যেদিন তিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন।"
হিজরী ক্যালেন্ডার প্রচলন এর মূল কারণ ছিল ইসলামিক শাসন ব্যবস্থায় একটি স্বতন্ত্র ও সুনির্দিষ্ট বর্ষপঞ্জি তৈরি করা, যা মুসলিম সমাজের ধর্মীয় ও প্রশাসনিক কাজগুলোর জন্য একটি একক সময়সীমা নির্ধারণ করবে। নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের ঘটনাকে ইসলামিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে ধরা হয়।
প্রথম খলিফা হযরত ওমর রাঃ এর শাসনামলে (৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে) মুসলিম সমাজে একটি ঐক্যবদ্ধ ক্যালেন্ডার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, কারণ বিভিন্ন চিঠিপত্র ও প্রশাসনিক কাজের সময় নির্ধারণে অসুবিধা হচ্ছিল তাই ইসলামিক বর্ষপঞ্জি হিজরী ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং নবীজির হিজরতের ঘটনাকেই এর সূচনা বিন্দু হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।
হিজরী ক্যালেন্ডার মুসলমানদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি রমজান মাস, হজ এবং ঈদ উৎসবের তারিখ নির্ধারণের ব্যবহৃত হয়। হিজরী বর্ষপঞ্জি চাঁদের ভিত্তিতে নির্মিত, যেখানে একটি বছরকে মোট ১২টি চন্দ্র মাসে ভাগ করা হয়। প্রতিটি মাস গড়ে ২৯ বা ৩০ দিনের হয়। এ ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস মহরম এবং শেষ মাস জিলহজ।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন ২০২৫ সালের রমজান মাস কবে
আরবি বা হিজরী ক্যালেন্ডার এর মাসগুলো বিন্যাস
আরবি ক্যালেন্ডার যা হিজরি ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত, একটি চন্দ্রভিত্তিক ক্যালেন্ডার এটি চাঁদের গতিপথের উপর নির্ভর করে গঠিত। যেখানে প্রতিটি মাস নতুন চাঁদের উদয় থেকে শুরু হয় এবং ২৯ বা ৩০ দিন দীর্ঘ হয়। হিজরী বছরের মোট বারোটি মাস রয়েছে যা প্রায় ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিন নিয়ে গঠিত।
এই কারণে এটি সৌর ভিত্তিক ক্যালেন্ডার এর তুলনায় প্রায় ১১ দিন ছোট। ফলে হিজরী মাসগুলো প্রতি বছর এগিয়ে আসে। হিজরী ক্যালেন্ডার এর মাস গুলো হলঃ
- মহররম
- সফর
- রবিউল আউয়াল
- রবিউস সানি
- জমাদিউল আউয়াল
- জমাদিউস সানি
- রজব
- শাবান
- রমজান
- শাওয়াল
- জিলকদ
- জিলহজ
প্রতিটি মাসের শুরু এবং শেষ চাঁদের অবস্থান এর উপর নির্ভর করে, যা দৃষ্টিগোচরের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়। এই পদ্ধতির কারণে হিজরী মাসের নির্দিষ্ট তারিখ বার্ষিক ঋতু গত চক্রে স্থির থাকে না। এই ক্যালেন্ডারটি মুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব, উপবাস, হজ, এবং অন্যান্য ধর্মীয় কার্যকলাপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মহররম মাস
মহরম মাস ইসলামী হিজরি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস এবং এটি ইসলামের অন্যতম পবিত্র ও মহিমান্বিত মাস হিসেবে পরিচিত। এই মাসে আল্লাহর প্রিয় নবী রাসূলদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল বলে এটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। বিশেষ করে ১০ মহরম যাকে আশুরা বলা হয় ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন।
এই দিনে আল্লাহ বিভিন্ন নবীকে কঠিন বিপদ থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন, যেমন নূহ আলাইহিস সালামের মহা প্লাবনের অবসান এবং তার নৌকার যুদি পর্বতে অবতরণ, মূসা আঃ ও তার অনুসারীদের ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্তি ইত্যাদি। কিন্তু আশুরার দিনটি মুসলিম ইতিহাসে আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনার জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে আছে।
আর তা হলো কারবালার ঘটনা ৬১ হিজরির ১০ মহরম তারিখে ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং তার পরিবার ও সঙ্গীদের কারবালার ময়দানের সামনে ইয়াজীদের সেনাবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ করা হয়। ইমাম হুসাইনের এই আত্মত্যাগ মুসলিম উম্মাহর কাছে ন্যায়, সত্য এবং জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে আছে
শিয়া মুসলমানরা এই দিনটিকে গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে এবং বিভিন্ন শোকানুষ্ঠান মিছিল ও মাতম করে। অন্যদিকে সুন্নি মুসলমানরা আশুরার দিনে রোজা রাখার মাধ্যমে এই দিনের পবিত্রতা ও গুরুত্বের স্মরণে ইবাদত করেন, যা মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সুন্নাহ। এই দিনে দান খয়রাত করা এবং গরিব-দুঃখীদের সহায়তা করা সুন্নী মুসলিমদের মধ্যে একটি প্রচলিত প্রথা।
সফর মাস
সফর মাস ইসলামী হিজরী বর্ষপঞ্জির দ্বিতীয় মাস এবং একটি আরবি মাস গুলোর মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ মাস হিসেবে বিবেচিত। যদিও ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতিটি মাসই সমান গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচীন আরব সমাজে সফর মাস নিয়ে কিছু কুসংস্কার প্রচলিত ছিল। অনেকেই মনে করতেন এই মাসে অমঙ্গল ও বিপদ বেশি হয়।
যার ফলে এই মাসে কোন শুভ কাজ যেমন বিবাহ, ব্যবসায়ী উদ্বেগ গ্রহণ করা এড়িয়ে চলতেন। তবে ইসলাম এ ধরনের কুসংস্কারকে বাতিল করেছে এবং প্রতিটি মাসকে সমান মর্যাদার অধিকারী হিসেবে ঘোষণা করে বলেছে যে আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কোন মাস নিজে থেকে অমঙ্গলের কারণ হতে পারে না।
এই মাসের সাথে সম্পর্কিত কুসংস্কার ভেঙ্গে দিয়ে তিনি আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপনে জোর দিয়েছেন। ইসলামের প্রাথমিক সময়ে সফর মাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও সংঘটিত হয়েছিল। যেমন এই মাসে নবী করীম সাঃ এর জীবনে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ ও অভিযান সংগঠিত হয়, যা ইসলাম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
বর্তমানে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে সফর মাস পালনের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো বাধা নেই।তবে অনেকেই ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে মাসটি অতিবাহিত করেন এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন যেন সকল বিপদ থেকে রক্ষা পান। সফর মাস আমাদের শিখিয়ে দেয় যে সময় বা পরিস্থিতির মধ্যে কোন কুসংস্কার খোঁজার পরিবর্তে আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীল থাকা এবং তাকে একমাত্র নির্ভর হিসেবে মেনে চলাই একজন মানুষের প্রকৃত কর্তব্য।
রবিউল আউয়াল মাস
রবিউল আউয়াল মাস ইসলামের ইতিহাসে বিশেষ মর্যাদা পূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি মাস। হিজরী বর্ষপঞ্জি তৃতীয় মাস রবিউল আওয়াল, যাকে মুসলিম উম্মাহ ভালবাসা ও শ্রদ্ধার মাস হিসেবে পালন করে। এই মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্ম এবং ওফাত।
ইসলামের শেষ নবী ও আল্লাহর প্রিয় রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এই মাসের ১২ তারিখের মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। আবার ৬৩ বছর বয়সে এই একই তারিখে ওফাত গ্রহণ করেন। তার জন্মদিন যাকে ঈদে মিলাদুন্নবী বলা হয়, পৃথিবীতে সত্য শান্তি এবং ন্যায় বিচারের বার্তা নিয়ে আসার মহান উপলক্ষ্য হিসেবে পালিত হয়।
সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনে বিশেষ দোয়া, মিলাদ মাহফিল এবং কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে নবী র জীবন ও আদর্শ স্মরণ করে। তার জীবনের আদর্শ ব্যক্তিত্ব এবং চারিত্রিক গুণাবলী অনুসরণ করে। তাকে সম্মান জানানোর জন্য এই মাসে মুসলিম উম্মাহ বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এবাদত বন্দেগী করেন।
অনেক দেশে এই মাসে বিভিন্ন ধর্মীয় এবং সামাজিক আয়োজন করা হয়, যেখানে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর জীবনের ঘটনাবলি এবং প্রচারিত ইসলাম ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়, কারণ তিনি মানুষকে তাওহীদের পথে পরিচালিত করেছেন এবং এবং ন্যায় বিচার, সত্যতা, করুণা এবং সৌজন্যের শিক্ষা দিয়েছেন।
রবিউল আউয়াল মাসটি মুসলিমদের জন্য নবীজির স্মৃতিকে স্মরণ করার এবং তার আদর্শকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার একটি সুযোগ।
রবিউস সানি মাস
রবিউস সানি হল ইসলামী চন্দ্র পঞ্জিকার চতুর্থ মাস। একটি রবিউল আউয়াল মাসের পর এবং জমাদিউল আউয়াল মাসের আগে আসে। রবিউস সানি অর্থ দ্বিতীয় বসন্ত, যেখানে রবিউ শব্দের অর্থ বসন্ত এবং সানি অর্থ দ্বিতীয়। এটি সেই সময়ের দিকনির্দেশনা করে যখন আরবে ঠান্ডা আবহাওয়া শুরু হয় এবং বসন্ত বিদায় নিতে শুরু করে।
অনেক মুসলিম এই মাশের সঙ্গে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিশেষ সংবাদ স্থাপন করেন। যদিও ইসলামিক ক্যালেন্ডার এর মূলত চারটি পবিত্র মাস নির্দিষ্ট তবুও এই মাসে বিভিন্ন আমল ও ইবাদত করার করা হয়। মাসটি ইসলামের ইতিহাসেও গুরুত্বপূর্ণ। এটি ছিল এমন একটি সময় যখন অনেক সাহাবীরা দিনের প্রসারে অবদান রাখছিলেন।
রবিউসনি মাসের ইবাদত, দান সদগা ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা হয়। অনেক মুসলিম এই মাসে বেশি বেশি নফল নামাজ, দান-খয়রাত ও অন্যান্য সৎ কর্মের নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। ইসলামী চিন্তাবিদরা মনে করেন মাসটি শৃঙ্খলা ও আত্মশুদ্ধির মাস হিসেবে পালন করা উচিত।
জমাদিউল আউয়াল মাস
জমাদিউল আউয়াল হলো ইসলামিক চন্দ্র পঞ্জিকার পঞ্চম মাস। "জমাদ" শব্দের অর্থ শুকনো বা বরফময়। যা মূলত এই সময় আরব অঞ্চলের শীতলতার চরম অবস্থান নির্দেশ করে। "আওয়াল" শব্দের অর্থ প্রথম, অর্থাৎ "জমাদিউল আউয়াল" বলতে প্রথম শীতল মাস কে বোঝানো হয়েছে।
এই মাসটি জমাদিউস সানি মাসের পূর্বে আসে এবং এর সঙ্গে আরব অঞ্চলের আবহাওয়ার ইতিহাসের একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। তখনকার সময়ে অনেক যুদ্ধবিগ্রহ সামরিক অভিযানের ঘটনা এ মাসে সংগঠিত হয়েছিল। যেমন ইসলামিক খিলাফতের শুরুর দিকে মুসলিম বাহিনীর জয়লাভের বিভিন্ন ঘটনা।
জামাদিউল আউয়াল মাসে মুসলিমরা বিশেষ করে নিজেদের আত্মশুদ্ধির দিকে মনোযোগ দেয় এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য বিভিন্ন আমলে ব্যস্ত থাকে। অনেকেই এই মাসের নফল রোজা রাখেন, দান সদকা করেন এবং কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়ায়ে মগ্ন থাকেন।
ইসলামের ইতিহাসে তাকালে দেখা যায় এই মাসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্মরণে মুসলিমরা দোয়া ও ইবাদতে মগ্ন থাকেন। এই মাস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় প্রতিটি মাস ই আল্লাহর দান এবং এর প্রতিটি দিন আমাদের জন্য আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহ সান্নিধ্য লাভের সুযোগ।
জমাদিউস সানি মাস
জমাদিউস সানি ইসলামী হিজরী ক্যালেন্ডারের ষষ্ঠ মাস, যা মুসলমানদের ধর্মীয় ও সংস্কৃতি ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। জমাদিউস সানি বা জমাদিউস আঁখির নামটি এসেছে আরবি শব্দ "জমাদ" থেকে যার অর্থ হলো শুষ্ক বা কঠিন অবস্থা যা সেই সময় মরুভূমির শুষ্কতার দিক নির্দেশ করে।
ঐতিহাসিক ভাবে এ সময়টিতে আরবে মরুভূমিতে শুষ্কতা বৃদ্ধি পেত এবং পানি সংকট দেখা দিত। এটি ইসলামিক ক্যালেন্ডার এর এক চন্দ্র মাসে এবং সাধারণত ২৯-৩০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় যার উপর নির্ভর করে পরবর্তী চন্দ্র মাসের দর্শন। এই মাসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক ঘটনা সংঘটিত হয়, যেমন কিছু সাহাবীর শাহাদাত দিবস।
মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকে এ মাসে বিশেষ ইবাদত ও দোয়া করে সময় কাটান যদিও এই মাসে নির্দিষ্ট কোন ফরজ ইবাদত বা রোজা। নেই জমা জমাদিউস সানি মাসটি হিজরী বছর এর প্রথমার্ধের শেষ মাস তাই এটি মুসলিম সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ ঐতিহ্যের স্মরক হিসেবে গৃহীত।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন ২০২৫ সালের কুরবানির ঈদ কবে
রজব মাস
রজব মাস হিজরি বছরের সপ্তম মাস যা ইসলামের বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ এবং আধ্যাত্মিক তাৎপর্যপূর্ণ একটি সময়। এটি চারটি হারাম বা সম্মানিত মাসের একটি, অন্য তিনটি হলো জিলকদ, জিলহজ এবং মহররম। রজব মাসকে পবিত্রতার মাস হিসেবে বিবেচনা করা হয় যেখানে মুসলমানদের মাঝে অতিরিক্ত ইবাদত চেষ্টা বিশেষভাবে উদ্দীপিত।
ইসলামের ইতিহাসে এই মাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, কারণ এটি পবিত্র মেরাজের মাস হিসেবে পরিচিত। ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ এই মাসের ২৭ তারিখে আল্লাহর বিশেষ কৃপায় মেরাজে আরোহন করেছিলেন, যেখানে তিনি সপ্তাকাস ভ্রমণ করেন এবং আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করেন। অনেক মুসলমান এই মাসের নফল রোজা রাখেন এবং বিশেষ দোয়া ও ইবাদত করেন।
যদিও এ মাসের নির্দিষ্ট কোন ফরজ আমল নেই, তবে রজব মাস থেকে রমজানের আগমনী বার্তা সচেতিত হয়। এই মাস থেকে মুসলিমরা তাদের আত্মশুদ্ধির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। রজবকে বীজ বপনের মাস হিসেবে উপমা দেওয়া হয়, যেখানে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আত্নিক পরিবর্তন এর বীজ রোপন করেন যা পরবর্তীতে শাবান মাসে পুষ্ট হয় এবং রমজান মাসে পূর্ণতা পায়।
শাবান মাস
সাবান মাস হিজরি বছরের অষ্টম মাস, যা মুসলিমদের জন্য আধ্যাত্মিক প্রস্তুতির সময় এবং রমজান মাসের সন্নিকটে হওয়ায় বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এটি এমন একটি মাস, যেখানে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নিজে বিশেষভাবে নফল রোজা রাখতেন এবং বেশি করে ইবাদত করতেন।
সাবান মাসের অন্যতম একটি বিশেষ দিন হল "শবে বরাত" বাল "লাইলাতুল বরাত" যা ১৫ সাবান রাতে পালিত হয়। এই রাতে মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ তা'আলা বান্দার জন্য আগামী বছরের ভাগ্য নির্ধারণ করেন এবং পাপীদের জন্য ক্ষমা করেন।
এই রাতে মুসলিমরা বেশি বেশি দোয়া, কোরআন তেলাওয়াত ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং আত্মশুদ্ধির চেষ্টা করে। শাবান মাস কে রমজান মাসের প্রস্তুতির মাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যাতে মুসলিমরা ইবাদতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন এবং আত্মাকে শুদ্ধ করতে পারেন।
হাদীসে উল্লেখ আছে যে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এই মাসে অন্যান্য মাসের চেয়ে বেশি নফল রোজা রাখতেন এবং সাহাবীরাও তাকে অনুসরণ করতেন। শাবান মাসে আত্মশুদ্ধি এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য পরিশ্রম করা মুসলিমদের জন্য বিশেষ বরকত ও রহমত নিয়ে আসে যা তাদেরকে রমাজানের পূর্ণ ইবাদতের জন্য প্রস্তুত করে।
রমজান মাস
রমজান মাস হিজরি বর্ষের নবম মাস, যা ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র এবং বরকতময় সময় হিসেবে বিবেচিত এই মাসের প্রতিটি মুহূর্তই মুসলিমদের জন্য আধ্যাত্মিক উন্নতি, আত্মশুদ্ধি এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ এনে দেয়। রমজান মাসে কোরআন মাজিদের প্রথম অবতরণ হয়েছিল যা মুসলিমদের জন্য বিশেষ মর্যাদার দিক নির্দেশ করে।
এ মাসে সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ করা হয়েছে, যাতে তারা সুবাহে সাদিক থেকে মাগরিব পর্যন্ত পানাহার, জাগতিক ভোগবিলাস এবং পাপ কাজ থেকে বিরত থাকে। রোজার মাধ্যমে মানুষ তাদের ইচ্ছা শক্তিকে সংযত করতে শেখে এবং অভাবী ও দরিদ্রদের কষ্ট অনুভব করতে সক্ষম হয়।
রমজান মাসের শেষ দশকের লাইলাতুল কদর নামে একটি বিশেষ রাত রয়েছে যা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। এই মাসের ইবাদত ও দোয়া আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদা পায়। আর এ সময় মুসলিমরা অধিক পরিমাণ তিলাওয়াত, নামাজ এবং দান-খয়রাতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করে।
রমজানের রোজা শুধু শারীরিক ত্যাগ নয় এটি আত্মিক উন্নতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশের জন্য একটি মহৎ সময়। মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের মাধ্যমে এই সংগ্রামের পূর্ণতা উদযাপন করা হয়, যেখানে মুসলিমরা একত্রে আনন্দ প্রকাশ করে এবং পরস্পরের সাথে খুশি ভাগাভাগি করে।
শাওয়াল মাস
শাওয়াল মাস হিজরি বছরের দশম মাস। রমজানের পরপরই এই মাস আসে এবং মুসলিমদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ সময় হিসেবে বিবেচিত এই মাসের শুরুতেই ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। এটি এক মাসের রোজার পর সংযম ও আত্মশুদ্ধির পূর্ণতার প্রতীক হিসেবে আনন্দের দিনে নিয়ে আসে।
ঈদুল ফিতরের মাধ্যমে মুসলিমরা একমাসের ইবাদত আত্মসমর্পণ ও আল্লাহর কাছ থেকে প্রাপ্ত রহমতের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। শাওয়াল মাসের একটি বিশেষ আমল হল এই মাসের ছয়টি নফল রোজা যা "শাওয়ালের ছয় রোজা" নামে পরিচিত। হাদিসে উল্লেখ আছে যে রমজানের ফরজ রোজার পর যদি শাওয়ালের ছয়টি নফল রোজা রাখা হয় তবে এটি সারা বছরের রেজার সমতুল্য সওয়াব নিয়ে আসে।
এই রোজাগুলো মুসলিমদের আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং তাদের ঈমান ও তাকওয়ার উন্নতি ঘটায়। শাওয়াল মাসের মাধ্যমে মুসলিমদের জন্য রমজানের ইবাদতের ধারা অব্যাহত রাখার সুযোগ সৃষ্টি হয়। এটি তাদের সারা বছরের জন্য ধারাবাহিকভাবে নেক আমলের পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে।
জিলকদ মাস
জিলকদ হল হিজরী ক্যালেন্ডারের একাদশ মাস, যা ইসলামিক বছরের চারটি পবিত্র মাসের মধ্যে অন্যতম। এই মাসকে বসার মাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয় কারণ এটি একটি শান্তির মাস যেখানে যুদ্ধ ও সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকতে সুপারিশ করা হয়েছে।
এটি রমজান মাসের পরের মাস গুলোর মধ্যে একটি এবং পবিত্র হজের মাস এর ঠিক পূর্ববর্তী মাস। জিলকদ মাসের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এই সময়ে মুসলমানদের জন্য ইবাদত তওবা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা বিশেষভাবে বরকতময় মনে করা হয়। ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায় রাসুলুল্লাহ সাঃ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এই মাসে সম্পন্ন করেছিলেন।
বিশেষ করে তিনি এই মাসে হুদাইবিয়ার সন্ধি সম্পাদন করেছিলেন। এটি মক্কা বিজয়ের পূর্ব সূচনা হিসাবে কাজ করেছিল। এছাড়াও এই মাসে বিভিন্ন নফল ইবাদত যেমন নফল রোজা রাখা, কুরআন তেলাওয়াত করার বিশেষ ফজিলত রয়েছে।
জিলকদ মাস মুসলমানদের জন্য এক ধরনের প্রস্তুতির সময় যেহেতু পরের মাসে হজ পালনের মাস। তাই একটি মহান সওয়াবের মাস এবং আত্মিকভাবে পরিশুদ্ধ হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়।
জিলহজ মাস
জিলহজ হিজরী ক্যালেন্ডার এর দ্বাদশ ও শেষ মাস, যা ইসলামিক বছরের চারটি পবিত্র মাসের মধ্যে একটি। এই মাসটি মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মহিমাময়। এই মাসেই হজ অনুষ্ঠিত হয় যা ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। হজ এমন একটি ইবাদত যা প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জীবনে অন্তত একবার পালন করা ফরজ।
যিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন বিশেষভাবে বরকতময় এবং ফজিলত পূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এই দশ দিন আল্লাহর ইবাদত, রোজা, কোরআন তেলাওয়াত, দান সদকা এবং অন্যান্য নফল ইবাদত করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, "আল্লাহর কছে কোনদিনই এত ফজিলত পূর্ণ নয়, যতটা জিলহজের প্রথম ১০ দিন।"
এই মাসের ৯ তারিখে ইয়াওমে আরাফা বলা হয়, যা হজ এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আরাফাত ময়দানে উপস্থিত হওয়া হজের মূল রুকন গুলোর একটি। যারা হজ পালন করেন না তাদের জন্য এই দিনে রোজা রাখা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে আরাফার দিনে রোজা দুই বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়. একটি অতীত বছরের এবং একটি আগত বছরের।
জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পালিত হয় ঈদুল আযহা বা কুরবানীর ঈদ যা ইসলামের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। এই দিনটি বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা মহানবী ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর প্রতি আনুগত্য ও কুরবানীর প্রতীক হিসেবে পশু কোরবানি করে পালন করে। কুরবানীর মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী দান করে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করেন।
জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনে নেক আমল ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা হয়। তাই জিলহজ মাস মুসলমানদের জন্য বিশেষ গুরুত্বের মাস যেখানে ইবাদত এর মাধ্যমে আর্থিক পরিশুদ্ধি লাভের এক অসাধারণ সুযোগ রয়েছে।
আরবি ক্যালেন্ডার জানুয়ারি মাসের ২০২৫
২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস আরবি ক্যালেন্ডার এর ১৪৪৬ হিজরী সালের রজব এবং এবং সাবান মাসের মধ্যে পড়বে। ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ টি হবে হিজরীর রজব মাসের ১ তারিখ, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ টি হবে রজব মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ৩০ রজব। ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে আরবি নতুন মাস অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি হবে হিজরী শাবান মাসের ১ তারিখ।
● ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ইংরেজি তারিখ কি হবে হিজরী রজব মাসের ২৭ তারিখ। উক্ত দিনটি ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি বিশেষ দিন যা শব-ই-মিরাজ নামে পরিচিত।
জানুয়ারি (রজব-শাবান ১৪৪৬)
রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহস্পতি | শুক্র | শনি |
---|---|---|---|---|---|---|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালের ইংরেজি আরবি ক্যালেন্ডার
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হিজরী একটি মাসই পড়েছে সেটি হল ১৪৪৬ হিজরী সালের শাবান মাস। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইংরেজি তারিখটি হবে শাবান মাসের ২ তারিখ, এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ টি হবে শাবান মাসের ২৯ তারিখ।
● ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০১৫ শুক্রবার দিনটি হচ্ছে হিজরী সালের শাবান মাসের ১৫ তারিখ। যেটি শবে-ই-বরাতের দিন।
ফেব্রুয়ারি (শাবান ১৪৪৬)
রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহস্পতি | শুক্র | শনি |
---|---|---|---|---|---|---|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
মার্চ মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ আজকের তারিখ
২০২৫ সালের ইংরেজি বর্ষপঞ্জির মার্চ মাস এবং ১৪৪৬ হিজরী সালের রমজান মাস একই সাথে শুরু হচ্ছে। অর্থাৎ এক মার্চ ২০২৫ তারিখ টিই হচ্ছে এক রমজান ১৪৪৬।
● ২৬ মার্চ ২০২৫ সন্ধ্যা থেকে লাইলাতুল কদরের রাত্রি শুরু হবে এবং ২৭ তারিখ পুরো
দিনটি হবে হবেই কদরের দিন।
● ২৮ মার্চ শুক্রবার দিনটি হল জুমাতুল বিদা এর দিন।
● ৩০ মার্চ ২০২৫ রমজান মাসের শেষ দিন অর্থাৎ উক্ত দিনটি ৩০ রমজান ১৪৪৬।
● ৩১ মার্চ ২০২৫ দিনটি হল শাওয়াল মাসের এক তারিখ। উক্ত দিনটিতে মুসলিম বিশ্বের
বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালিত হবে।
আরও পড়ুনঃ দোয়া কবুলের উপযুক্ত সময়
মার্চ (রমজান-শাওয়াল ১৪৪৬)
রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহস্পতি | শুক্র | শনি |
---|---|---|---|---|---|---|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
এপ্রিল আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫
এপ্রিল (শাওয়াল-জিলক্বদ ১৪৪৬)
রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহস্পতি | শুক্র | শনি |
---|---|---|---|---|---|---|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
আজকে আরবি মাসের কত তারিখ মে ২০২৫
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসটিতে হিজরে দুইটি মাস পরেছে, যেগুলো হলো জিলকদ ও জিলহজ। ১ মে ২০২৫ তারিখ টি হলো ৩ জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি। ২৭ মে ২০২৫ তারিখটি জিলকদ মাসের শেষ দিন অর্থাৎ উক্ত দিনটি ২৯ জিলকদ ১৪৪৬। ২৮ মে ২০২৫ তারিখ থেকে জিলহজ মাস শুরু হয়েছে অর্থাৎ উক্ত দিনটি ১ জিলহজ ১৪৪৬
মে (জিলকদ-জিলহজ ১৪৪৬)
রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহস্পতি | শুক্র | শনি |
---|---|---|---|---|---|---|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
আরবি ক্যালেন্ডার জুন মাসের আজকের তারিখ ২০২৫
জুন (জিলহজ্ব১৪৪৬-মহরম ১৪৪৭)
রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহস্পতি | শুক্র | শনি |
---|---|---|---|---|---|---|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
আরবি ক্যালেন্ডার জুলাই মাসের আজকের তারিখ ২০২৫
২০২৫ সালের জুলাই মাসে ১৪৪৭ হিজরী সালের মহরম ও সফর মাস পড়েছে। ১ জুলাই ২০২৫ তারিখটি ৬ মহরম ১৪৪৭ হিজরী। ২৫ জুলাই ২০২৫ তারিখে ৩০ মহরম ১৪৪৭ এবং এই দিনের মাধ্যমে মহররম মাসের শেষ হয়েছে। ২৬ জুলাই ২০২৫ থেকে সফর মাস শুরু হয়েছে অর্থাৎ এই দিন ১ সফর ১৪৪৭।
● ৫ জুলাই ২০২৫ তারিখটি ১০ মহরম ১৪৪৭। দিনটি পবিত্র আশুরা।
জুলাই (মহরম-সফর ১৪৪৭)
রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহস্পতি | শুক্র | শনি |
---|---|---|---|---|---|---|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
আগস্ট মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫
২০২৫ সালের আগস্ট মাসে হিজরী ১৪৪৭ সালের দুটি মাস সফর এবং রবিউল আউয়াল পড়েছে। এক আগস্ট ২০২৫ তারিখ টি আরবি সফর মাসের ৭ তারিখ। ২৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখটি আরবি সফর মাসের ৩০ তারিখ এবং এই দিন সফর মাস শেষ হয়েছে। পরদিন ২৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখে নতুন মাস রবিউল আউয়াল শুরু হয়েছে, অর্থাৎ এই দিনটি এক রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরী।
আগস্ট (সফর-রবিউল আউয়াল ১৪৪৭)
রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহস্পতি | শুক্র | শনি |
---|---|---|---|---|---|---|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সেপ্টেম্বর মাসের ২০২৫ সালের আরবি ক্যালেন্ডার
সেপ্টেম্বর (রবিউল আউয়াল-রবিউস সানি ১৪৪৭)
রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহস্পতি | শুক্র | শনি |
---|---|---|---|---|---|---|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অক্টোবর মাসের বাংলাদেশে আজ ইসলামিক আরবি তারিখ কত
২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হিজরী ১৪৪৭ এর দুটি মাস রবিউস সানি ও জমাদিউল আউয়াল পড়েছে। এক সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখটি রবিউস সানি মাসের ১ তারিখ। ২২ অক্টোবর ২০২৫ সালে রবিউল সানি মাস শেষ হয়েছে, এই দিন হিজরী ৩০ রবিউল সানি। পরদিন ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১ জমাাদিউল আউয়াল।
● ৩ অক্টোবর ২০২৫ অর্থাৎ ১১ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরী তারিখটি ফাতেহা-ই-য়াজদাহামী।
অক্টোবর (রবিউস সানি-জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭)
রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহস্পতি | শুক্র | শনি |
---|---|---|---|---|---|---|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
নভেম্বর মাসের আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৫ আজকের তারিখ
২০২৫ এর নভেম্বর মাসে হিজরী ১৪৪৭ সালের দুটি মাস জমাাদিউল আউয়াল ও জমাদিউস সানি পড়েছে। ১ নভেম্বর তারিখটি হিজরী সালের ১০ জমাদিউল আউয়াল। ২১ নভেম্বরে, ৩০ জমাাদিউল আউয়াল তারিখের মাধ্যমে জমাদিউল আউয়াল মাস শেষ হয়েছে। ২২ নভেম্বরে, ১ জমাদিউস সানি।
নভেম্বর (জমাদিউল আউয়াল-জমাদিউস সানি ১৪৪৭
রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহস্পতি | শুক্র | শনি |
---|---|---|---|---|---|---|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
আরও পড়ুনঃ ২০০৫ সালের ঈদ-উল-ফিতর কবে
আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ডিসেম্বর ২০২৫
হিজরি ১৪৪৭ সালের জমা দিবস সানি ও রজব এই দুই মাস রয়েছে ২০২৫ ইংরেজি বর্ষের ডিসেম্বর মাসে। ১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ টি হিজরী মাসের ১০ জমাদিউস সানি। ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে হিজরী জমাদিউস সানি মাসের ২৯ তারিখ এবং এটি উক্ত মাসের শেষ দিন।
২১ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে শুরু হয়েছে হিজরী বর্ষের রজব মাস, অর্থাৎ ১ রজব ১৪৪৭। ২০২৫ সালের ইংরেজি বর্ষের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর হচ্ছে হিজর রজব মাসের ১১ তারিখ।
ডিসেম্বর (জমাদিউস সানি ১৪৪৬-রজব ১৪৪৭
রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহস্পতি | শুক্র | শনি |
---|---|---|---|---|---|---|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
Quick Tips 24 এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url